ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৭ নভেম্বরের নায়ক তাহের, খলনায়ক জিয়া: ইনু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
৭ নভেম্বরের নায়ক তাহের, খলনায়ক জিয়া: ইনু বক্তব্য রাখছেন হাসানুল হক ইনু। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানে কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম নায়ক ও জিয়াউর রহমান খলনায়ক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ইনু বলেন, জাসদ প্রতি বছর ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে।

কিছু দল ও লোক দিনটিকে সেনা কর্মকর্তা হত্যা দিবস, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস, বিএনপির পক্ষ থেকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু, আমি দিনটিকে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবসই বলবো। এটা ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিরুদ্ধে, জাতীয় চার নেতার খুনিদের বিরুদ্ধে, সামরিক শাসনের রাজনীতির বিরুদ্ধে, কিছু সেনা কর্মকর্তার ক্ষমতায় যাওয়ায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে, সংবিধান লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সিপাহী-জনতার মহৎ বিপ্লবী প্রচেষ্টা।  

তিনি বলেন, যারা সিপাহী-জনতার বিপ্লবকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস‌ বলেন, তারা কার্যত বঙ্গবন্ধুর খুনি ও জিয়াউর রহমানের অপকর্ম দুঃশাসন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেন।  

৭ই নভেম্বরের কর্নেল তাহের ও জিয়ার ভূমিকা উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লবী প্রচেষ্টার নায়ক ছিলেন কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। আর এই বিপ্লবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন খলনায়ক। অভ্যুত্থানের পর তার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সিপাহী-জনতার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যহত হয়। জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠেন। কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। অনেক সিপাহীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।  

সাবেক মন্ত্রী বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমানেরও শেষরক্ষা হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাসদের সুশাসনের সংগ্রাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের সংগ্রামে কর্নেল তাহেরের মতো সিপাহী-জনতার মতো বিপ্লবী-সাহসী কর্মী দরকার। জাসদ সেই বিপ্লবী কর্মী সরবরাহ করবে।  

জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল আখতারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি শাহ জিকরুল আহমেদ, সফিউদ্দিন মোল্লা, ফজলুর রহমান বাবুল, শহিদুল ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, নাইমুল আহসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মো. আনোয়ারুল হক, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব শামিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
আরকেআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।