ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পেট্রোল বোমার পথ বেছে নিলে জনগণ বিএনপিকে প্রতিহত করবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
পেট্রোল বোমার পথ বেছে নিলে জনগণ বিএনপিকে প্রতিহত করবে

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার রায়ের সময় বিএনপি হট্টগোল করে আদালত অবমাননা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ রায়কে কেন্দ্র করে তারা আবারও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, ভাঙচুরের পথ বেছে নিলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) উদ্যোগে ও আওয়ামী লীগের প্রচার কমিটির সহযোগিতায় এ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।

এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি বিএনপি আদালত মানে না, আইন না, আইন-আদালতের তোয়াক্কা করে না। খালেদা জিয়ার এ মামলা হচ্ছে সেই মামলা, যে মামলায় তিনি উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও বার বার তারিখ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ মামলাকে প্রলম্বিত করা হয়েছে, ১০ বছরের বেশি এটি চালানো হয়েছে। তারা তখন আদালতে হট্টগোল করেছে, জনগণের ওপর হামলা করেছে, ভাঙচুর করেছে, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। আজ তারা যেটি করেছে, সেটি আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। তারা যে আইন মানে না, আদালত মানে না তারই বর্হিপ্রকাশ হচ্ছে এ হট্টগোল করা। আদালত অবমাননার চরম পর্যায়ে তারা এ কাজটি করেছে। তারা চরমভাবে আদালত অবমাননা করেছে বলে আমি মনে করি।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রথমমতো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেওয়া মানে আদালতকে অবমাননা করা, আদালতকে অবজ্ঞা করা। আর কর্মসূচির নামে যদি ভাঙচুর, জনগণের ওপর হামলা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পথে তারা আবার হাটে তাহলে জনগণ কিন্তু আর তাদের সুযোগ দেবে না। জনগণ তাদের কঠোর হস্তে প্রতিহত করবে এবং আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে দাঁড়াবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, শিল্প বিপ্লবের চতুর্থ ধাপ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব। তাই শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলেন। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এসকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।