ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

না’গঞ্জ-ঘোড়াঘাট-সিনহা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
না’গঞ্জ-ঘোড়াঘাট-সিনহা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ, ঘোড়াঘাটের ইউএনও’র ওপরে হামলা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তদন্ত কমিটি করে প্রকৃত দায়ীদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।  

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদের বিস্ফোরণে যারা নিহত হয়েছেন তারা বেশিরভাগই স্বচ্ছল পরিবারের নয়, সেজন্য আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করছি।

তিনি বলেন, আমরা আসন্ন উপ-নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। এটা নতুন সিদ্ধান্ত নয়। শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা দু’টো উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়েও পরে ক্যাম্পেইনে যাইনি। সুতরাং আমরা আগের সিদ্ধান্তেই আছি। আমরা উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করবো। সে অনুযায়ী ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৬, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফরম বিক্রি ও জমা নেওয়া হবে। ১২ সেপ্টেম্বর তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে হত্যা, গুম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে। তখন সেগুলো সবই ছিল রাজনৈতিক। এসব নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। জেনেভায় রিপোর্ট দিয়েছি। কিন্তু সেভাবে সামনে আসেনি।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় দাবি করে ফখরুল বলেন, কক্সবাজারে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে। আজকে পুলিশের কিছু কিছু কর্মকর্তার যে সম্পদের হিসাব বের হচ্ছে তাতে কি মনে হয়। এতে প্রমাণিত হয় যে পুলিশের এ এজেন্সিটা আজকে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কারণ সরকার গত নির্বাচন ও আগের নির্বাচনগুলোতে তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।  

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি নারী হোক আর পুরুষ হোক তিনি সরকারের একজন কর্মকর্তা। তাকে তার বাসায় রাতে হামলা করে হত্যাচেষ্টা করা হলো। আর দেখা গেলো র‌্যাব বললো চুরির জন্য এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই দ্রুত একটা প্রেস কনফারেন্স করে বলে দেয় এটা চুরির ঘটনা। এটা আসলে পুরো জিনিসটাকেই ডাইভার্ট করে দেওয়া।

তদন্ত এখন আর নিরপেক্ষ হচ্ছে না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা চাই নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এ তদন্তগুলো হওয়া উচিত। যাতে সঠিক চিত্র বের হয়ে আসে।

দেশের সরকার ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনটা কি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার ও রাষ্ট্র যদি মানুষের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা না দিতে পারে। আমার মনে হয় এ বিষয়গুলো নিয়ে সবার এখন কথা বলা দরকার। ঘুরে দাঁড়ানো দরকার যে আমরা প্রকৃতপক্ষে একটা কল্যাণমুখী রাষ্ট্র চাই। প্রকৃত অর্থে একটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার চাই।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি মানুষের এখন সরকারের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। সরকারকে বলা উচিত এনাফ ইজ এনাফ, দয়া করে এখন দেশের মানুষকে ক্ষমা দাও। চলে যাও, সরে যাও এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা করো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।