ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্থানীয় সরকার উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করল বিএনপি

স্পেশাল  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
স্থানীয় সরকার উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করল বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় সরকার উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে ফের ভোট দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বুধবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ দাবি করেন।



প্রিন্স বলেন, বিএনপি মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করছে এবং পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু পুনঃনির্বাচনের জোর দাবি জানিয়েছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, মঙ্গলবার দেশের যেসব এলাকায় স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যাপক তাণ্ডব ভোট-সন্ত্রাস ও নানা অপকর্মের ফলে এটি আরেকবার সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন সরকারের ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। বরাবরের মতোই মঙ্গলবার স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নির্লজ্জ। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও নিজেদের স্বাধীন সত্তা বিকিয়ে দিয়ে সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

প্রিন্স বলেন, এসব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংশ্লিষ্ট জেলায় বুধবার যে প্রতিবাদ/বিক্ষোভ/মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সেসব কর্মসূচিতেও স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা ব্যাপক বাধা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জনগণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে বরং জনগণের সেন্টিমেন্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপির নতুন ওই মুখাপাত্র বলেন, মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনে সরকার তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বরাবরের মতোই ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটকেন্দ্র দখলসহ ব্যালট পেপারে গণহারে সিল মারা, জালভোট দেওয়া ও সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। একতরফাভাবে সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতেই সরকার এ ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির সমর্থক ও ভোটারদের ওপর হামলা এবং ব্যাপক ভোট জালিয়াতির আশ্রয় নিলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার অনুগত প্রশাসন সেসব দেখেও না দেখার ভান করেছে। এসব অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি ও পেশী শক্তির বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।