ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোট ডাকাতি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে গণপরিবহনে আগুন: ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
ভোট ডাকাতি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে গণপরিবহনে আগুন: ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়ালের উদ্দেশে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গণপরিবহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভুয়া বাদীর মামলায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়ালের উদ্দেশে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে। এখন সেই ঘটনার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর জবরদস্তিমূলক চাপিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হয়রানি ও গ্রেফতার করছে। এছাড়া তাদের গ্রেফতারের নামে বাসা-বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারের এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যখন নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে, তখন সরকার স্বভাব-সূলভভাবে মিথ্যাচার ও নাটক সাজিয়ে আবারও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। সরকার বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলা হয়েছে অথচ একটি মামলার বাদী হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তিনি নিজেই অস্বীকার করেছেন যে, তিনি মামলা দায়ের করেননি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভুয়া বাদীর সেই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে হাসপাতালে বা বাসায় দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসাধীন, কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে থাকা এমনকি দুই বছর ধরে পঙ্গুত্ব বরণকারী নেতাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী নেতাকর্মীদের এই মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল প্রশ্ন তোলেন, সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ীই যদি আসামি করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন- বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অসুস্থ, আহত, চিকিৎসাধীন কিংবা ঢাকার বাইরে ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদেরকে মামলায় আসামি করা হলো কিসের ভিত্তিতে? প্রকৃত অর্থে এই মামলাগুলো যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট তা সুনিশ্চিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফ্যাসিবাদী সরকারের এই অপতৎপরতা।  

বিবৃতিতে অবিলম্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ এবং গ্রেফতার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।