জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে মরণোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জ্বলন্ত আগুনে হাত দিলে তা পুড়ে যায়। আশা করি, সরকার ভুলেও সেই কাজটি করবে না। যদি কোনো কারণে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল হয়, ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের পর অনন্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
অলি আহমদ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির দুর্দিনে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা, অসহায় ছিল, জাতির সেই ক্রান্তিলগ্নে আলোর দিশারী হিসেবে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার আহ্বানের ফলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত সব বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, ছাত্র-জনতা বাঙালি সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
কর্নেল অলি আরও বলেন, সেদিন আমরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে, ফঁসির ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলাম। যুদ্ধে বীরত্বের জন্য জিয়াউর রহমান খেতাব পেয়েছেন। সুতরাং কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে আপমান করা সরকারের সমীচীন হবে না।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) গত মঙ্গলবার এক সভায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সহায়তা করার দায়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক