মুন্সিগঞ্জ: প্রতিপক্ষের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী মো. ফিরোজের (৩৫) লাশ নিয়ে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভায় মিছিল করেছে স্থানীয়রা। এসময় সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনকে এই হত্যাকাণ্ডে দায়ী করে শ্লোগান দেয়।
বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সাবেক মেয়রের দোকানপাটে ভাঙচুরও করে। এদিকে আগামীকাল সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত মিরকাদিম পৌরসভার বাজার এলাকার মার্কেট বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকাল ৫ টায় মিরকাদিম পৌরসভার মিরাপাড়া থেকে লাশ নিয়ে মিছিল শুরু হয়ে এরপর ঈদগাহ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
গত শুক্রবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফিরোজ। সে মিরকাদিমের মিরাপাড়া এলাকার মৃত রব ফকিরের ছেলে।
নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী ফিরোজের ভাই উজ্জ্বল জানান, গত বৃহস্পতিবার মিরাপাড়া এলাকায় রাত সাড়ে ১১টায় বাসা থেকে বের হয় আমার ভাই। এরপর নির্জন একটি স্থানে তার মাথার পেছনে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শুক্রবার রাত ১১ টায় মারা যায়।
তিনি জানান, আমার ভাই মিরকাদিম পৌরসভার আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের সমর্থক। এর জের ধরেই সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনের সমর্থকরা হামলা করে খুন করেছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মনছুর আহম্মেদ কালাম জানান, রোববার (৭ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মার্কেট বন্ধের একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আ.লীগ কর্মী ফিরোজের সম্মানার্থে এ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন আধিপত্য বিস্তারের জন্য তার অনুসারী দ্বারা এ ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় গত শুক্রবার দুপুরে মারধোরের মামলা হয়েছিল। নিহতের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলামিনকে(২০) আটক করে আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরো একজন আসামিকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
এমএমএস