লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করছে।
এ নির্বাচনী আসনের দালাল বাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান সোহেলের নাম রয়েছে।
এ নিয়ে আয়োজিত সভায় সোহেল উপস্থিত থেকে নৌকার প্রার্থীর ব্যয়ের জন্য ৩ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব নুরুজ্জামান মাষ্টার।
এর আগে বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত থেকে বিএনপি নেতা সোহেল নির্বাচনের জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় করবেন বলে ঘোষণা দেন।
দালাল বাজার ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নুরনবী চৌধুরী, যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন হাওলাদার, মো. বাকের ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান মাস্টারকে করা হয়।
এর মধ্যে সোহেল সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সোহেল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর ভাগিনা।
জানা গেছে, কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ১১ এপ্রিল উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন একটি পৌরসভাসহ রায়পুর ও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ২ হাজার ৯৬৩ জন ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এতে দলীয় প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফায়িজ উল্যাহ শিপন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার প্রচারণা শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রচারণার সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন প্রার্থীরা।
২৪ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিন আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের ঢাকা মহানগরের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার সাঁটিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। প্রার্থী নিজেই ফেসবুকে প্রতীক সংবলিত পোস্টার পোস্ট করে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ তুলছেন জাতীয়পার্টির প্রার্থী।
বিএনপি হয়েও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটিতে থাকার ব্যাপারে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আমাকে ওই প্রোগ্রামে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো বলে আমি গিয়েছিলাম। কমিটিতে থাকার ব্যাপারে আমি জানি না। ওনারা করলেও করতে পারে। তবে নির্বাচনী খরচ দেওয়ার ব্যাপারে আমি ঘোষণা দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসএইচডি/এএটি