ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত ও মাদরাসা ছাত্রদের তাণ্ডবের ঘটনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলব যারা এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীন রাষ্ট্রে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করা যাবে না।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল, একইভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যাকলাপ করা হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবেনা। এবার আশ্বস্ত করছি, এবার আমরা একটা কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডব পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন একটা সময় স্বাধীনতার ৫০ বছরের পূর্তি হচ্ছে, যখন বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে আলোচিত উন্নয়ন-প্রগতির কারণে। সেই সময়ে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীর কালেমা লেপনের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত এবং হেফাজত মিলে এই কাজটি করেছে। একটা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে কালেমা লেপন করার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, হেফাজতের যারা এখানে আছেন, তাদের কাছে তো গানপাউডার থাকার কথা না। এই গানপাউডারের ব্যবহার আমরা ১৯৭১ সালে দেখেছি। আর দেখেছি জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এখন আবার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে গানপাউডারের ব্যবহার দেখে পরিস্কার হয়ে গেছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করেছে জামায়াত এবং বিএনপি। তারাই এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মো. আলআমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাহবুব উল আলম হানিফ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল নিয়ে হেফাজত কর্মীদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এনটি