ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সীমা অতিক্রম করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২১
সীমা অতিক্রম করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ: কাদের

ঢাকা: যারা দেশব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছে বা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণের ধৈর্য ও সহনশীলতার একটা সীমা আছে। সীমা অতিক্রম করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় একথা বলেন।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, হেফাজত ইসলাম নামে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশের বিদ্যমান স্বস্তি ও শান্তি বিনষ্ট করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সব মাত্রা অতিক্রম করেছে। জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  

ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উসকানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করে এদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।  

‘সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে আওয়ামী লীগ এখনও দায়িত্বশীল আচরণ করছে, দেখাচ্ছে সহনশীলতা। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কোনো ধর্মান্ধতাকে সমর্থন দেয় না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে। ’

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ধ্বংসাত্মক আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে ২০১৩-১৪ সালের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার ঘৃণ্য খেলায় মত্ত হয়েছে। তাদের সাবধান করে দিয়ে বলতে চাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আঘাত এলে প্রতিঘাত করতে জানে এবং আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণও করতে জানে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দেবেন না। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অবমাননা জাতি আর সহ্য করবে না। বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্যের উপর যারা হামলা করেছে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের এ ধৃষ্টতার জবাব দেবে।

ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গতকাল ঢাকাসহ দেশের সবক’টি  সিটি করপোরেশনে জনস্বার্থে গণপরিবহন চালুর যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, সে ব্যাপারে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কেউ কেউ যে অভিযোগ করছে তা সঠিক নয়।

‘জনগণের দাবির মুখে জনস্বার্থে দুর্ভোগ কমাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। দু’একদিনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস চালুর ব্যাপারে কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন যা মোটেও সত্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২১
এসেকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।