কুষ্টিয়া: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘোষণা দিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে ও বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমরভোগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় খোকসা থানায় সকালে উভয়পক্ষই পৃথক দু’টি মামলা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোমরভোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাবেদ আলী এবং আওয়ামী লীগ নেতা লিটন মাস্টারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের নেতা ইউপি সদস্য জাবেদ আলী ও লিটন মাস্টারের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় রাতে হামলা চালানোর হুমকি দেন লিটন মাস্টার। পরে দিনগত রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউপি সদস্য জাবেদের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে জাবেদের লোকজন লিটনের লোকজনের ওপরে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে শাজাহান আলী (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৪০), রাশিদুলসহ দু’পক্ষের ১০ নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হন। আহতদের মধ্যে শাজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জাবেদ ও লিটন দু’জনেই আওয়ামী লীগ নেতা। প্রায়ই এদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা এসে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে ধারণা করছি।
খোকসা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সকালে উভয়পক্ষের লোকজন মামলা দায়ের করেছেন। এরই মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২১
এসআরএস