ঢাকা: ‘নো বডি সেভ ইন দিস কান্ট্রি। এদেশে কেউ নিরাপদ নয়।
বুধবার (১২ মে) দুপুরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দলটি দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। সেই দলটির হাতেই গত এক যুগ ধরে এদেশের মানুষ যেভাবে অত্যাচারিত-নির্যাতিত হচ্ছে, এটা ধারণার বাইরে। সারা দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন এই যে, এখানে ঢোকার আগে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ জন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন, কমপক্ষে এবং তাদের কাজটাই হচ্ছে যে, এভাবে গোটা বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা। এই করে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে আমরা বড়াই করি, কথা বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলি এই স্বাধীনতার চেতনার পরিণতি কি এটা? এই পরিণতি হয়েছে।
ইলিয়াসের পরিবারের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ কন্ঠে ফখরুল বলেন, এই যে ইলিয়াসের দুই ছেলে একজন ব্যারিস্টার হয়েছে। ইলিয়াস যখন নিখোঁজ হয়ে যায় তখন ওরা দুই ছেলে ছোট, মেয়েটা ছোট ছিলো। ওদের মা.. এরা জানে না ওরা কি করবে? বাবার জন্য কী কোনো কুলখানি করবে, কোনো কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দোয়া করবে। তারা তো জানে না বাবা কোথায়? এটাই বাস্তবতা। এই যে নির্মম অত্যাচার যারা জীবনের জন্য তাদের বহন করতে হবে এই কষ্টটা, এই বেদনাটা। শুধু রাজনীতির কারণে তাদের বাবাকে তুলে নিয়ে গেছে জোর করে।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও যুব দলের সাবেক সহসভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দু’ছেলে ও এক মেয়ে সাইয়ারা নাওয়ালকে নিয়ে বনানীর বাসায় থাকেন ইলিয়াসের সহধর্মিনী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহমিনা রুশদীর লুনা।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী নিজের বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পরপরই চালকসহ নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত তার ও গাড়িচালক আনসার আলীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মির্জা ফখরুল ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর হাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
এমএইচ/এএটি