ঢাকা: নদী নিয়ে ভারতের সঙ্গে ৩ দফা চুক্তি হলেও একদিনের জন্যও ভারত এ চুক্তিকে গ্রাহ্য করেনি বলে জানিয়েছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
রোববার (১৬ মে) ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ফারাক্কা লংমার্চ সবসময় আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক এবং বর্তমানকালে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক। প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, নদী ধ্বংস করে উন্নয়নের যে ধারা তার অন্যতম উদাহরণ ফারাক্কা বাঁধ। একইসাথে ভারত কীভাবে পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর আধিপত্য বজায় রেখে দিনের পর দিন তা টিকিয়ে রাখে তারও উদারণ।
তিনি আরও বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে ভারতের জনগণেরও ক্ষতি হচ্ছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এর বিরোধিতা করেছেন, তারপরেও তারা এ বাঁধ টিকিয়ে রাখছে কৌশগতভাবে বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য। নদী নিজেই একটি প্রাণ এবং এর এখন আইনি ভিত্তিও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের এবং ভারতের আদালত এর স্বীকৃতি দিয়েছে। মওলানা ভাসানীও এই সত্তাকে অনুধাবন করেছেন এবং লংমার্চেও তা ধ্বনিত হয়েছে। একইসাথে নদীর ওপর নির্ভরশীল সকল প্রাণ রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব সে কথাও মওলানা ভাসানী বলেছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, পরিবেশ আইনবিদ এবং বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব ও মওলানা ভাসানীর পৌত্র আজাদ খান ভাসানী।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ