হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় সরকারের আড়াই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রাপ্তদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এক যুবলীগ নেতা। উপকারভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করে ধরা পড়েছেন।
যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাপে তিনি টাকাগুলো ফেরত দিয়েছেন। এরপরও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুবলীগ নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংকটে ৩৫ হাজার অস্বচ্ছল পরিবারের মধ্যে আড়াই হাজার করে টাকা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেই সহায়তার উপকারভোগী বানিয়াচং উপজেলার লিটন দেব, স্বপন দেব, নুরুল মিয়া ও কেনু মিয়া। সম্প্রতি তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে আড়াই হাজার টাকা করে আসে।
গত ১৪ মে ওই পাঁচজন বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান খেলুর জান্নাত স্টোরে টাকা ক্যাশ করতে যান। এ সময় খেলু কৌশলে টাকাগুলো তার নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে উপকারভোগীদের জানান, এ ম্যাসেজ ভুয়া। এ কথা বলে তিনি উপকারভোগীদের ফিরিয়ে দেন। পরে অন্য দোকানে গিয়ে উপকারভোগীরা জানতে পারেন খেলু প্রতারণার মাধ্যমে টাকাগুলো নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে নিয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও চার নম্বর দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়াকে জানান। পরে রেখাছ মিয়াসহ জনপ্রতিনিধিরা খেলুকে চাপ সৃষ্টি করলে তিনি প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেন। প্রতারণার স্বীকার উপকারভোগীরা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খেলু মিয়া পাঁচজন উপকারভোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি টাকাগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আরও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার ব্যাপারে যুবলীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানার সঙ্গে তার মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
আরআইএস