ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, বিদেশি টিকা আমদানি ও উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও দেশীয় টিকা উৎপাদনে সহায়তা নেই মন্ত্রণালয়ের। আর এ কারণেই তিন মাস পার হলেও দেশে তৈরি করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমতি পাচ্ছে না।
শুক্রবার (২১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওষুধ নীতি তৈরি করেন। তখন চাহিদার মাত্র ১৬ শতাংশ ঔষধ দেশে তৈরি হতো। ওষুধ নীতির ফলে চাহিদার প্রায় ৯৭ শতাংশ মিটিয়ে দেশে তৈরি ওষুধ বর্তমানে শতাধিক দেশে রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বমানের অনেক ওষুধ কোম্পানি।
তিনি বলেন, গেল বছর বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদন করে। প্রাণীদেহে এন্টিবডি তৈরিতে সফল হয়েছে এক ডোজের বঙ্গভ্যাক্স। ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বঙ্গভ্যাক্সকে করোনা প্রতিরোধে তালিকাভুক্ত করেছে। বঙ্গভ্যাক্স এর গবেষণাপত্র যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’, প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স এর কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডাটাবেজ সংরক্ষিত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বায়ো আর্কাইভ- এ প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্স এর গবেষণাপত্র। আবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিচার্স কাউন্সিলের তরফ থেকে অজানা কারণে অনুমোদন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে আছে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল। অথচ বঙ্গভ্যাক্স সফল হলে টিকা সংকটকালে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হবে। তাই বঙ্গভ্যাক্স এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস