ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমতলীতে শ্রমিকলীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২১
আমতলীতে শ্রমিকলীগ নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে মো. আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান মৃধাকে কুপিয়ে পা ও হাত কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  

শুক্রবার (২১মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাইঠা এলাকার শারিকখালী খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা (শেবাচিম) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে মো. আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান মৃধা শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দাওয়াত খেতে মাইঠা গ্রামে যান। ওই গ্রামের রাস্তায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা আজাদ ও হাসানকে ধরে শারিকখালী খালের পাড়ে নিয়ে যায়।

পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আজাদের দুই হাতের বাহু, তালু, কব্জি, দুই পায়ের হাঁটু, গোড়ালি এবং হাসানের দু’হাতের বাহু ও কব্জি কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসা মো. মোরশেদ আলম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।  
 
এদিকে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান দাবি করেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কৌশলে দাওয়াত খাওয়ানের কথা বলে আজাদ ও হাসানকে কুপিয়েছে।  

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মোর্শেদ আলম বলেন, গুরুতর আহত আজাদের দুই হাত ও দুই পা বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে কুচি কুচি করে দিয়েছে। আজাদের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর আহত হাসানের দু’হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  

তিনি আরো বলেন, দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ঈদের দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কৌশলে আমার ভাগ্নে আজাদ এবং শ্রমিক লীগ নেতা হাসানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হাত ও পা কেটে দিয়েছে। আমি এ বর্বরতায় শাস্তি দাবি করছি।    

আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিত কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে। আসল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।