নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খানের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষিকাকে অপমান করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৩ মে) দুপুরে জেলা শহরের সাদ্দাম মোড়ে নিজ বাসভবনে এ সম্মেলনের করেন সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষিকা এবং সৈয়দপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা (ভুক্তভোগী)।
লিখিত বক্তব্যে আনজুমান আরা অভিযোগ করেন, দিলনেওয়াজ খান যুদ্ধাপরাধী নঈম গুণ্ডার ছেলে। প্রভাব প্রতিপত্তি থাকায় তাকে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক করা হয়েছে। একাধারে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাও।
তিনি বলেন, আমি সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র, পরিবহন নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আখতার হোসেন বাদলের ছোট বোন। গত ১২ ডিসেম্বর আমার ভাই মৃত্যুবরণ করেন। তার স্থলে আমার বিধবা ভাবি রাফিকা আকতার জাহান বেবী বিগত পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র পান এবং নির্বাচিত হন। গত ১৯ মে আমি ভাইয়ের নতুন বাবুপাড়ার বাসভবনে বেড়াতে যাই। সেখানে পৌরসভার কাউন্সিলররাসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আমাকে ভাইয়ের বাড়িতে প্রবেশে বাঁধা দেন আমার মেয়র ভাবি রাফিকা আকতার জাহান। এর একপর্যায়ে যুবলীগ আহ্বায়ক দিলনেওয়াজ খান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন এবং গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। কেন ভাইয়ের বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তা জানি না। দিলনেওয়াজ খানের ওই অশালীন আচরণের বিরুদ্ধে পরদিন গত ২০ মে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদলের ছোই ভাই ওবায়দুর রহমান চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে দিলনেওয়াজ খান বাংলানিউজকে বলেন, আনজুমান আপার সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচয় রয়েছে। তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করার প্রশ্নই ওঠে না।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
এসআরএস