ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটকে জবাবদিহিতাহীন কতিপয় লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের স্বার্থের বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাজেট নিছক আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়, বাজেটের মধ্যে যে নীতির প্রতিফলন ঘটে সে নীতিটা আমাদের বিবেচনায় নেওয়া দরকার। আমাদের দেখা দরকার নীতির পেছনে কী আছে? বিদ্যমান নীতিতে দেখা যাবে সরকার বাজেটে কোথাও কম বেশি বরাদ্দ বাড়িয়েছে, কিংবা কমিয়েছে। এই বরাদ্দ বাড়ানো কিংবা কমানোর মধ্যে বাস্তবে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টাকার অংকের ক্ষেত্রে হয়তো বরাদ্দ বৃদ্ধি পায় বটে, কিন্তু এই বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয়ের যে একটা জবাবদিহিতার জায়গা আছে সেটার উল্লেখ বাজেটে থাকে না।
‘স্বাস্থ্য খাতে এবারও থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই, স্বাস্থ্যখাতের কোন কোন বিষয়ে তারা অগ্রাধিকার দেবে—এই অগ্রাধিকার সুনির্দিষ্ট না থাকার ফলে ব্যয় কীভাবে হবে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকে না। ফলে বিভিন্ন ক্রয় খাত থাকে, সেখানে বিভিন্ন লবিস্ট গ্রুপ প্রকল্প নিয়ে হাজির হয় এবং সেখানে দুর্নীতির নহর বয়ে যায়। ’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, মহামারি ও দুর্যোগের মধ্যে সরকারের যে নীতি থাকা দরকার, অপ্রয়োজনীয় এবং অনুৎপাদনশীল ব্যয় কমানো, অন্যদিকে বিনিয়োগ অর্থাৎ যে বিনিয়োগে জনগণের হাতে টাকা পৌঁছাবে সেটার পরিকল্পনা থাকা দরকার। সরকারের ব্যয়ের খাতকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যেমন জনপ্রশাসনের ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট জবাবদিহিতার আওতায় আনা দরকার। মানুষের দুর্দশাকে পুঁজি করে দুর্নীতি লুটপাট করার সব পথ যেন বন্ধ থাকে সেরকম বাজেটই জনগণের দরকার। আর সেজন্য দরকার বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তর। আমরা রাষ্ট্রের এই গণতান্ত্রিক রূপান্তরে লড়াই চালিয়ে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পুসহ অন্যান্য নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ