ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপিকে জিয়ার কবরে ঢুকিয়ে দিতে চায় আ.লীগ: সাকি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১
বিএনপিকে জিয়ার কবরে ঢুকিয়ে দিতে চায় আ.লীগ: সাকি  জোনায়েদ সাকি

ঢাকা: বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের কবরে ঢুকিয়ে দিতে চায় আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৩ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল এমএজি ওসমানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রী কী করে বলতে পারেন। মানুষের মধ্যে ন্যূনতম একটা ব্যাপার থাকে। কোনটা সমুচিত। একজন মৃত মানুষ কবরে আছেন কিনা এটা নিয়ে কথা বলাই তো অসামাজিক। কোন কথা বলা যায় এটাও তো একটা ব্যাপার আছে। বিএনপিকে উনি কবরে ঢুকিয়ে দিতে চান। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে নির্বাচন সংক্রান্ত গণতন্ত্রের বিষয়টা আবার সামনে চলে আসবে। বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, বড় রাজনৈতিক দল, কাজেই বিএনপিকে এখন জিয়াউর রহমানের কবরে ডুকিয়ে দিতে হবে। জিয়াউর রহমান গুলি ছুড়েছিলেন কিনা, এইটাই এখন বিএনপির বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এই রকম একটা জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। ’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সাকি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কবরে বা উনি গুলি ছুড়েছেন কিনা এই তর্কের মধ্যে প্রবেশ করবেন না। আপনারা সামনের দিকে তাকান। সামনের নির্বাচনে যাতে কেউ ভোট চুরি করতে না পারে তার প্রস্তুতি নেন। সরকারে ষড়যন্ত্রে পা দিয়েন না। ’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে খেলাটা আপনি খেলছেন এটা খুবই আত্মঘাতী খেলা। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় নেতা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। জিয়াউর রহমান ঘোষণাটা পাঠ করেছেন। ঘোষণা দিয়েছেন সেটা কিন্তু বঙ্গবন্ধু নামেই দিয়েছেন, তাকে জাতীয় নেতা হিসাবে ঘোষণা করেই দিয়েছেন। কিন্তু আপনার জিয়াউর রহমানের ঘোষণার কোনো গুরুত্ব দিবেন না। অথচ এটা সবাই জানে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা সে সময়ে সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয়েছিল এবং মানুষকে একটা আশা দিয়েছিল যে প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে এটা শুধু গণহত্যার মধ্যে থাকবে না।

আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লাইলা পারভীন বানু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।