ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ছেলেকে জেলে নেওয়ার পথে বুকে টেনে নিলেন পৌরমেয়র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
ছেলেকে জেলে নেওয়ার পথে বুকে টেনে নিলেন পৌরমেয়র

নওগাঁ: সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় কারাগারে নেওয়ার পথে ছেলে সাদমান হক নিলয়কে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেন নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল ছনি।     

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁ আদালত প্রাঙ্গণে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

 

এর আগে নিলয়সহ বিএনপির ছয় নেতা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন নওগাঁ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার কামাল চঞ্চল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, জেলা যুবদলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন মুক্তার, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা, যোগাযোগ সম্পাদক বকুল হোসেন ও জেলা ছাত্রদলের যোগাযোগ সম্পাদক সাদমান হক নিলয়।

তাদের কারাগারে নেওয়ার পথে নিলয়কে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা দেন তার বাবা পৌরমেয়র নজমুল ছনি।  

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ওই ছয় নেতা চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ছয় আসামির জামিনের কোনো সুযোগ ছিল না। তারা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মতো মামলার অন্যতম আসামি। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার হাফিজের নেতৃত্বে আদালত চত্বরে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেন জেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পত্তিসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা করে। দুই মামলায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

৩০ মার্চ নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হেফাজতকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই দিন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।