ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার পতনের শেষ শিখা জ্বলে উঠেছে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
সরকার পতনের শেষ শিখা জ্বলে উঠেছে: গয়েশ্বর

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাতি নিভার আগে যেমন জ্বলে উঠে সরকারের অবস্থাও ওই রকম।

সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে পতনের শেষ শিখা জ্বলে উঠছে মাত্র। এটা নিভে যাবে। কখন নিভে যাবে সেটা তারা নিজেরাও টের পাবে না। অচিরেই সরকারের পতন হবে।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে পুলিশের হামলা, গুলি বর্ষণ এবং নারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বেতন জনগণের টাকায় হয়। সরকার দেয় না। তারা যা খুশি তা করতে পারেন না। গতকাল কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুখ দিয়ে যে বক্তব্য বেরিয়েছে তা অতি সাম্প্রদায়িক। আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসাতো হচ্ছে হিন্দুদের ভোট, আর মালায়ন বললেতো হিন্দুদেরই বুঝানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের পোশাক পরিধানকারী ওসির মুখ থেকে এ ধরণের বক্তব্য গর্হিত কাজ। এখন তার পোশাক পরার অধিকার আছে কিনা এটা বিবেচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা কুমিল্লার ঘটনা দেখিছি সেখানে পুলিশ বক্তব্য দিয়ে কিভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। আমরা সে ধরণের পরিস্থিতি চাই না। গতকালের ঘটনার দায়  সরকারকে বহন করতে হবে। সেটা পুলিশ হোক ছাত্রলীগ হোক বা যুবলীগ হোক। সেখানকার জনপ্রতিনিধিকে এর জবাব দিতে হবে। দেশটাকে স্বাধীন করার সময় হিন্দু মুসলিম দেখিনি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর আমরা এ ধরণের বক্তব্যের জন্য প্রস্তুত নই। ‘মালায়ন’ বলতে কাকে বুঝিয়েছেন? ইউনিফর্ম ধারী ওসির মুখ থেকে তা প্রত্যাশা করা যায় না।

সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন,  গতকালের ঘটনার বিচার না করলে কেরানীগঞ্জের জনগণ এর বিচার করবে। আজ কেরানীগঞ্জের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। ভোর থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এখানে এসেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গতকাল বিএনপি নেতার বাড়িতে তার অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে দেখতে যেতে চেয়েছিল নিপুণসহ নেতাকর্মীরা। তাদের ওপর হামলা হয়েছে।   ৮৫ বছরের নারীর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। শত শত মানুষ আহত হয়েছে। নারী নির্যাতনের নির্লজ্জ চিত্র সারা বিশ্বে ফুটে ওঠেছে। এটি আরেকটি জ্বলন্ত উদাহরণ। পুলিশের হুমকিতে আমরা বসে থাকব না। সাংবিধানিক রাইট সভা সমাবেশ করার। যারা বাধা দেয় তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। গতকালের হামলার বিচার দাবি করছি। ওসির বক্তব্যের বিচার দাবি করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি বিচার না করেন তাহলে জনগণ এর বিচার করবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নিপুণ রায় চৌধুরী, জয়ন্ত কুমার কুন্ডুসহ নেতাহর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এমএইচ/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।