ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সরকার দেশকে নীরব দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
‘সরকার দেশকে নীরব দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে’

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলছে।

বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। সরকার দেশকে নীরব দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ভারতে হিজাব নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও মদের অবাধ অনুমতি প্রদানের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাদক নিষিদ্ধ করেছিলেন, অথচ তার কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার ২১ বছরের ছেলেদের মদের লাইসেন্স ও ১০০ লাইসেন্সধারীদের জন্য মদের বার অনুমোদন দিয়ে দেশের ভবিষ্যতকে ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। মদের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার বিরত না হলে দেশের জনগণ বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

ভারতের কর্ণাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের রক্ত সবচেয়ে বেশি ঝরেছে। অথচ নরেন্দ্র মোদী সরকার হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার নামের ভারতকে ইসলামশূন্য করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

শায়খে চরমোনাই আরও বলেন, পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্মেলন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। তিনি নিরপরাধ আলেম-ওলামাদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই। পানি-গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারি আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহীদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম নাঈম, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা সাব্বির আহমাদ ও নাঈম বিন জামশেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এমএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।