ভোলা: পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভোলা সদরের আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে মরদেহ চরনোয়বাদ চৌমুহনী এলাকায় তার বাড়িতে নেওয়া হয়।
জানাজা ও দাফনের সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব হাফিজ উদ্দিন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিনুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নয়ন ও জেলা বিএনপি গোলাম নবী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা থেকে একটি লাশবাহী গাড়িতে করে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে আনা হয় নুরে আলমের মরদেহ।
সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৩১ জুলাই) ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আবদুর রহিম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ এবং বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে নুরে আলমসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। পরে বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরে আলমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
এসআই