ঢাকা: সাধারণ মানুষ হরতালে অংশ নিয়ে রাস্তায় না নামলেও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) হরতাল চলাকালীন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে হরতালের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আমরা জোর করে কোনো যানবাহন আটকাচ্ছি না। যদি মানুষ বলে এই হরতালে মানুষের সমর্থন নেই তাহলে মেনে নেব, কিন্তু মানুষ এমন কথা বলছে না। সাধারণ মানুষ হরতালে অংশ নিয়ে রাস্তায় না নামলেও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু এই সমর্থন সরকারের কানে যায় না। আমরা খবর পেয়েছি মালিকরা জোর করে শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে বাধ্য করছে। কিন্তু এই হরতালে যারা বাস চালাচ্ছেন বা জীবিকার প্রয়োজনে কাজে বের হচ্ছেন, সেই শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষেরাও আমাদের দাবির প্রতি নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছেন।
হরতাল শেষে রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল আলী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা বিধান রায় প্রমুখ নেতা।
সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বামপন্থীদের হরতালের কর্মকাণ্ড গত ৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। দাম বাড়ানো সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ও দাম কমানোর দাবিতে আমাদের আন্দোলন-হরতালে আমরা নৈতিক সমর্থন পেয়েছি। এই সমর্থনকে গণসংগ্রামে পরিণত করতে সাধারণ মানুষকে রাজপথে নেমে এসে দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। বাম বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় হরতালের আগের রাতে ছাত্রনেতা দীপক শীলসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ দিনাজপুরে ছাত্রনেতা লিটন রায়কে গ্রেফতার ও ঢাকার শাহবাগে হামলা চালিয়ে ছাত্রদের আহত করা হয়েছে। এতসবের মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা ধৈর্য্য ধরে হরতাল সফল করেছে।
জোটের সমন্নয়ক আরও বলেন, জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম, পরিবহনের ভাড়া কমানোর দাবিতে ও বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের আন্দোলন চলবে। আগামীতে অন্যান্য বামপন্থী দল, সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ, ঘেরাওসহ আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশ থেকে দাম কমানোর দাবি আদায় এবং দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
আরকেআর/এসএ