ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বের এই অবস্থায় বাংলাদেশ যখন বিপদে, শেখ হাসিনা তখন পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দিচ্ছেন। যারা সমালোচনা করছেন তারা কি ক্ষমতায় থাকলে এই পরিস্থিতি সামলে দিতে পারতেন?
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমানের সমস্যা আ.লীগের সৃষ্টি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা সৃষ্টি করেছে বড় বড় দেশ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে। এরা নিজেরা নিজেদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। নিউইয়র্কের মেয়র বলছেন, আমরা অর্থনৈতিক সংকটে আছি, ওয়ালস্ট্রিট অর্থ সংকটে আছে।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে এসেছেন পিতার মতোই। নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নয়, শেখ হাসিনা কষ্ট করেন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। পিতার মতোই মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন।
মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যতই বিষোদগার করেন, যতদিন বাংলায় পাখিরা গান গাইবে, নদীর কলতান থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা থাকবেন। একজনকে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে বাঙালির মুক্তির জন্য বিধাতা পাঠিয়েছেন। শেখ হাসিনাও হয়তো মারা যাবেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর লিগ্যাসি থেকে যাবে।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান দুর্নীতিপরায়ন। তার আরও সুনাম আছে- অর্থপাচার ও দুর্নীতি।
তিনি বলেন, কানাডার আদালতে বিএনপির কর্মী রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলে। কিন্তু সেদেশের আদালত বলেছিল বিএনপি টেরোরিস্ট সংগঠন। এই সংগঠনের কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপির হাত থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছে না। বিএনপি যেমন দল তেমন কর্ম করছে।
মির্জা ফখরুল বলেছেন পাকিস্তান আমলে তিনি ভালোছিলেন। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে না পারায় তিনি এখন ভালো নেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পঁচাত্তরের পরে সবচেয়ে সৎ মানুষ শেখ হাসিনা। সফল প্রশাসক শেখ হাসিনা, সফল কূটনৈতিক শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সততার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, অনেকেই জানেন না, শেখ রেহেনার নিজের গাড়ি নেই। লন্ডন শহরে বাসে চড়ে যাতায়াত করেন। সামান্য চাকরি করে খান লন্ডনে।
শেখ হাসিনা যুবলীগের কার্যক্রমে খুশি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগ সাংস্কৃতিকে রাজনীতির মিশেলে দারুণ অনুষ্ঠানসূচি আয়োজন করেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুবলীগ প্রতিনিয়তই বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
এনবি/এমএমজেড