ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগ ক্ষমতায় এলেই গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ হয়: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
আ. লীগ ক্ষমতায় এলেই গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ হয়: রিজভী কথা বলছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যে সরকার বিরোধী মতের ওপর কঠোর অবস্থান এবং গুম ও ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সেই সরকার কখনোই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও মেনে নিতে পারে না। খুলনার মহাসমাবেশকে ঘিরে শুধু হামলা আর আক্রমণই নয়, ছিনতাই-আটক ও অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের অপরাধ করেছে সমাবেশে আগত জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এরা বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের যে ধারাবাহিকতা রেখেছে সেখান থেকে সরে আসেনি। যুবলীগ-ছাত্রলীগের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও হত্যায় উৎসাহী।

রিজভী বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার গণসমাবেশ ছিল এক অনবদ্য, স্বতস্ফুর্ত বিশাল জনসমাগম। জনসমাবেশকে বানচাল করতে সরকারি সব উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়ে রাত জেগে খুলনা মহানগরীর রাস্তাঘাট, ফুটপাথ ও সমাবেশ স্থলে শুয়ে বসে অবস্থান নেয় হাজার হাজার জনতা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট, ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করেও মানুষের স্রোতকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে শাসকগোষ্ঠী। সরকারি ধর্মঘটে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেও খুলনা মহানগরীর জমায়েত ঠেকাতে পারেনি।

বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, গণসমাবেশের পরে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়িতে ফেরার পথেও আওয়ামী দুষ্কৃতিকারিদের হামলার মুখে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। খুলনায় বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে, যানবাহন ট্রলারে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নজিরবিহীন সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। তারা চেষ্টা করেছে জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে। শুধু পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ আক্রমণই নয়, তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

রিজভী বলেন, মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে খুলনা মহানগরীর বৈকালীর মোড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নারকীয় হামলার শিকার হন জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব অ্যাডভোকেট মর্তুজা উল আজম পিটার, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, বিএনপি নেতা বকুল হোসেন। সেখানে তাদের ৪০টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করে। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীসহ সংগঠনের ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে বহনকারী মাইক্রোবাস পুলিশ বাধা দিয়ে আটকায় এবং জিলানী ছাড়া সবাইকে (গাড়ির চালকসহ) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। আজ তাদের জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়।

রিজভী আহমেদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন খুলনায় বাস কেন বন্ধ তা তিনি জানেন না। তাহলে তিনি শুধু ব্যর্থই নন, অপদার্থও বটে। তিনি নিশ্চয়ই জানেন, বাস কে বন্ধ করেছে? হাসিনার বর-কন্দাজ হয়ে তিনি যে বাস বন্ধের কাজটি করেছেন, সেটি আসাদুজ্জামান খান কামাল না জানলেও দেশবাসী জানেন। তাদের নোংরা চাতুরী ও দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে জনগণের অভ্যুত্থান থামানো যাবে না। কুৎসা, মিথ্যা ও বেপরোয়া মিথ্যাচারের ন্যক্কারজনক প্রচার চালাতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা এখন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ ও আসাদুজ্জামান খান কামালরা ফ্যাসিবাদের নিঃস্বার্থ নিবেদিত উপাসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।