ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১১ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্র কে চালাবেন পরিষ্কার হওয়া উচিত: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
১১ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্র কে চালাবেন পরিষ্কার হওয়া উচিত: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির ডাকা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১১ তারিখ থেকে রাষ্ট্র কে চালাবে তা পরিষ্কার হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বিরোধী দল বড় বড় সমাবেশ করছে।

বহু লোকের সমাবেশ ঘটাচ্ছে। তারা তাদের অধিকারের কথা বলতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের একটি কথার অর্থ আমি বুঝিনি। বলল ১০ ডিসেম্বরের পর এই সরকার থাকবে না। তাহলে ১১ তারিখে কে রাষ্ট্র চালাবে এটা পরিষ্কার হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার ৬ষ্ট বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, উনাদের (বিএনপি) তো রাষ্ট্র চালানোর কোনো সুযোগ নেই। উনারা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি না যে আওয়ামী লীগকে বিদায় করে দিয়ে তারা রাষ্ট্র চালাবে। যেহেতু উনারা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন এবং আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিনিধি হওয়ার কোনো সুযোগও নেই, কাজেই তাদের তো রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে কি কোনো অদৃশ্য শক্তি রাষ্ট্র চালাবে? উনারা কি সেটাই চাচ্ছেন কোনো অসংবিধানিক গোষ্ঠী বা শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসুক। যদি চান তাহলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

মোজাম্মেল হক বলেন, সংবিধান অনুসারে বিকল্প কোনো পথ নাই। তাই তাদেরকে জাতির কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য আহ্বান জানাই। যেহেতু ১০ ডিসেম্বর থেকে আওয়ামী লীগকে বিদায় করছেন, তাহলে ১১ ডিসেম্বর থেকে কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন সেটিও পরিষ্কার হওয়া উচিত। আর যদি বলেন কোনো সংবিধান মানি না, কোনো কিছু সাংবিধানিক উপায়ে আসবে না। তাহলে বলতে চাই ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই রাষ্ট্রে একটি অসংবিধানের শক্তি ক্ষমতায় থাকবে, এই অবস্থা যারা সৃষ্টি করতে চায় সেটা নিঃসন্দেহে অন্যায় ও অসাংবিধানিক। তাদের বিচার হওয়া উচিত।

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সম্পাদক অশোক ধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২২
এমএমআই/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।