ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

প্রবাসে বাংলাদেশ

জার্মানির খাদ্যমেলা অনুগা ২০২৫-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সাগর আনোয়ার, জার্মানি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫৮, অক্টোবর ৯, ২০২৫
জার্মানির খাদ্যমেলা অনুগা ২০২৫-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য ও বাণিজ্য মেলা অনুগা ২০২৫-এ এবার বাংলাদেশের উপস্থিতি সবার নজর কেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এবারের মেলায় সারা বিশ্বের ১১০টি দেশের প্রায় ৮ হাজার প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।


   
জার্মানির কোলন শহরের কোলনমেসেতে ৪ অক্টোবর শুরু হওয়া এই মেলা ৮ অক্টোবর শেষ হয়েছে।
 
মেলার আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ২০০ দেশের ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী মেলাটি পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশের সাত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ
জার্মানির ঐহিত্যবাহী এই খাদ্য মেলায় বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিচ্ছে সাতটি শীর্ষ খাদ্য ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ড্যানিশ ফুডস লিমিটেড, ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আইএফএড মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড, কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কিশওয়ান স্ন্যাকস লিমিটেড, মাসুদ অ্যাগ্রো প্রসেসিং ফুড প্রোডাক্ট ও তানভীর ফুড লিমিটেড।

বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ তত্ত্বাবধান করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সমন্বয় করছে বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। এ ছাড়া প্রাণ গ্রুপ নিজস্ব স্টল নিয়ে এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে।

ইউরোপে সম্ভাবনার বড় বাজার
বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিন থেকে জানানো হয়েছে, ইউরোপ বিশেষ করে জার্মানি, বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের জন্য বিশাল বাজার খুলে দিতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ভোক্তামুখী কৃষিপণ্য আমদানিতে জার্মানি শীর্ষে। গত বছর দেশটি সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ৬৮ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের কৃষিপণ্য আমদানি করেছে। এবারের মেলা বাংলাদেশের জন্য বিশাল বাজারের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।  

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নাইন অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর প্রশংসা করে বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশের কনফেকশনারি, নুডলস, হিমায়িত ও শুকনো ফলমূল ও সবজি, আচার, ভেজান মাংস, কাজুবাদাম, প্রস্তুত খাবার ও অর্গানিক পণ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পণ্য ইউরোপের স্বাস্থ্যসচেতন ও বৈচিত্র্যপ্রিয় ভোক্তাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় বাজারে টিকে থাকতে হলে ইইউর প্যাকেজিং, লেবেলিং, খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নিয়মাবলি কঠোরভাবে মানতে হবে। পাশাপাশি নতুন পণ্য উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক মান অর্জন এবং বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলাও জরুরি।

আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।