ঢাকা, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা: ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৮, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা: ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মাগুরা: মাগুরায় আলোচিত আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে যে ১০ জন সাক্ষ্য দেন, তারা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, আছিয়ার বোন, সাইফুল শেখ, জবেদা, জোহরা, হিটুর প্রতিবেশী শিহাব শেখ, মদিনাতুল গোরস্থান মাদরাসার খাদেম জামাল মোল্লা, মাগুরা সদর থানার পরিচ্ছন্নতা কর্মী আসাদুজ্জামান নবীন, মাগুরা সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এমাদুল হক ও রমজান আলী।

এনিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

সকালে কড়া পাহারায় প্রধান আসামি হিটু শেখ, তার দুই ছেলে সজীব শেখ (আছিয়ার দুলাভাই) ও রাতুল শেখ এবং হিটুর স্ত্রী জাহেদা বেগমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজাহিদ হাসানের আদালতে আনা হয়।

বিচারক ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর বুধবার (৩০ এপ্রিল) মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ বাদীপক্ষের একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

আসামির পক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে নেওয়ার সময় এ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ বলেন, আমরা দোষী না। আমরা বাসায় যখন ছিলাম, তখন আছিয়া সুস্থ ছিল। আমরা যখন বাসা থেকে বের হয়ে কাজে কামে গিছি, তারপর বেলা ১১টার সময় খবর পাই। আমরা কোনো অপরাধী না। আমরা যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, যে শাস্তি আছে, সেই শান্তি মাথা পেতে নিব।

হিটু শেখের ছোট ছেলে রাতুল শেখ আদালতে যাওয়া সময় সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন সকাল আটটার দিক আছিয়া ঘুম থেকে আমাকে ডেকে ওঠায়। আছিয়া বলে, ভাইয়া কাজে যাবেন না? আমি তখন আছিয়াকে বলি কাজে যাব। তখন আছিয়া বলে, কাজ থেকে এসে আমারে বাসায় দিয়ে আসেন। আমি সকাল আটটার দিকে আছিয়াকে সুস্থ অবস্থায় দেখে আইছি। পরে আছিয়া কীভাবে অসুস্থ হয়েছে আমি জানি না। আমরা কোনো দোষ করিনি।

রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।

ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ সে মারা যায়।  

এ মামলায় আদালতে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি দেখানো এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।