খুলনা: উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে নারী ও শিশুদের সুবিধার কথা বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা জাগ্রত যুব সংঘ ( জেজেএস) আয়োজিত মিডিয়া সংলাপে উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনায় নারী ও শিশুদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।
উপকূলীয় এলাকার নারী ও মেয়েদের দুর্যোগ বিপদাপন্নতা বিষয়ে গবেষণার ফলাফল ও কমিউনিটির প্রতিনিধিদের বক্তব্য উপস্থাপন বিষয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নগরীরর একটি ডায়ালগ সেন্টারে এ সংলাপ হয়।
সংলাপে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ক্রমাগত হুমকি হয়ে উঠেছে। যা নারী ও মেয়েদের ওপর গুরুতর আর্থ-সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে নারী ও মেয়েরা তুলনামূলকভাবে বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় উল্লেখ করে বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রে নারীদের জন্য পৃথক স্থান, নিরাপদ ল্যাট্রিন এবং পর্যাপ্ত আলোর সুবিধা সম্বলিত আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির দাবি জানান। একইসঙোগ গর্ভবতী নারী এবং প্রতিবন্ধী ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য উঁচু আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে সঠিক যাতায়াত ব্যবস্থা সম্বলিত আশ্রয়কেন্দ্রের নকশা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
জাপানের শাপলা নীড়ের সহযোগিতায় জেজেএস সম্প্রতি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে ৩শ’ মানুষের ওপর যে জরিপ পরিচালনা করে তার ওপরই এ মিডিয়া সংলাপের আয়োজন করা হয়।
জেজেএস’র নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেনর সভাপতিত্বে এবং প্রস্তুতি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজমুল হুদার সঞ্চালনায় এ সময় জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবিনামা তুলে ধরেন কয়রা সদরের বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান ও তাজরিন নাহার।
সংলাপে অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক ও সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সাংবাদিক আলহাজ্ব আবু তৈয়ব, মামুন রেজা, তরিকুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক রানা, মাকসুদ আলী, খলিলুর রহমান সুমন, গাজী মনিরুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম নুর, শেখ আল এহসান ও দিপংকর রায়।
এমআরএম/জেএইচ