ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫০, মে ১৩, ২০২৫
আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

সাক্ষ্যগ্রহণের মাত্র ১১ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। আগামী ১৭ মে বিচারের রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

 

আসামিদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন আইনজীবীসহ স্বজনরা।  

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার শেষ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় আগামী ১৭ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ প্রসিকিউটর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের নিয়োজিত অ্যাটর্নি জেনারেল সমমর্যাদার এহসানুল রহমান সমাজী বলেন, শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আজকে যুক্তিতর্ক শেষ হলো। বিচারিক ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৭ মে এই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। গতকাল এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ আদালত এই মামলায় পয়েন্টের ওপরে আমার বক্তব্য শুনার জন্য সুযোগ দিয়েছেন। সেই হিসেবে আজকে আদালতে শুনানির অবশিষ্ট অংশ আইনি যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করেছি। আদালতের কাছে বলেছি এই মামলায় যে ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন মৌখিক এবং দালিলিক সাক্ষ্য এই আদালতে উপস্থাপিত ও দালিখকৃত পর্যালোচনা দেখা যায় এই মামলায় প্রসিকিউশন তার আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আদালতের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার প্রার্থনা করছি।

রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।

ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ সে মারা যায়।  

এ মামলায় আদালতে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি দেখানো এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।