গাজীপুর: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও অতর্কিত বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাসুদ রানা।
তিনি বলেন, বুধবার (২১ মে) গাজীপুরস্থ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ২০২২ সালের স্নাতক পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিখে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২২ সালের স্নাতক (পাস) পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গাড়ি থেকে নামার সময় পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে উপাচার্যকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু ছাত্র নামধারী দুষ্কৃতকারী অসৎ উদ্দেশে উপাচার্যর ওপর হামলা করে। এতে তিনি কিছুটা আহত হন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। কিন্তু অটোপাস না দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে স্নাতক (পাস) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ৬৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে। করোনা মহামারি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বিবেচনা করে এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যেই গ্রেস মার্ক দিয়ে পাস করানো হয়েছে।
এ ছাড়া তাদের খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগও দেওয়া হয়েছে। এর ফল এ মাসেই বের হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যাচের কিছুসংখ্যক অকৃতকার্য শিক্ষার্থী আবার অটোপাসের দাবি নিয়ে উপাচার্যের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালায়।
আরএস/এএটি