ঢাকা, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০১ জুন ২০২৫, ০৪ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

আ. লীগ পুনর্বাসিত হলে দায় সরকারকে নিতে হবে: খোকন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩৫, মে ৩০, ২০২৫
আ. লীগ পুনর্বাসিত হলে দায় সরকারকে নিতে হবে: খোকন  বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন

নরসিংদী: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, জাপানে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন কেবল একটি দল নির্বাচন চায়। প্রকৃত পক্ষে দেশের আপামর জনতাসহ সব দলই একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।

ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিএনপির দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমাদের পছন্দের ব্যক্তি নোবেলজয়ী ড. ইউনূস দায়িত্বে আছেন। তাহলে নির্বাচন নিয়ে এত টালবাহানা কেন?  

তিনি আরও বলেন, কোনো কারণে যদি আবার স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ পুনবার্সিত হয় তাহলে সেই দায় কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের দায়িত্বরতদের নিতে হবে।  

শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় নরসিংদীর শিশু একাডেমির হল রুমে শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদী জেলা বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে দেশ ও জাতির সংকটে, ক্রান্তিকালে, বিপর্যয়ের সময় শহীদ জিয়াউর রহমান দুইবার নেতৃত্ব দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। যা আমাদের গর্বের বিষয়। তার অল্প শাসনামলে তিনি বিশ্বের নেতা হয়েছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান বিদেশে মানবসম্পদ রপ্তানির দিগন্ত উন্মোচিত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান মুক্ত অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তিনি দেশকে স্বনির্ভরশীল করেছিলেন।

তিনি বলেন, জনগণ এ দেশের মালিক, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সসম্মানে বিদায় নেবে। আশা করি তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, ডিসেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট দিন, তারিখ ঘোষণা করলে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আর যতই বিলম্ব হবে, দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে, দেশ সংঘাতের দিকে চলে যেতে পারে। জনগণের ধৈর্য, সংযম, সহনশীলতার বাঁধ ভেঙে গেলে তারা রাস্তায় নেমে আসবে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী দিনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত, জনগণের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এ আন্দোলনে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে ঘরে ফিরে যাবো না। এ আন্দোলনের মাধ্যমেই আসরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত করবো।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বাছেদ ভূইয়া, ভিপি জলিল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী, শহর বিএনপির সভাপতি একেএম গোলাম কবির কামাল, ফারুক উদ্দীন ভূঁইয়া, রবিউল ইসলাম রবি, ইকবাল হোসেন, বিজি রশিদ নওশের, আমিনুল হক বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাসির, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্না আহমেদ ও হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুল কবির ভূঁইয়াসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।