গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ভেতর হৃদয় (১৯) নামে এক শ্রমিককে বেঁধে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোরে কোনাবাড়ী থানার হরিণাচালা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার (২৮ জুন) ভোরে গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত হলেন, রাজশাহীর বাগমারা থানার হাটমাদনগর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি কোনাবাড়ী থানার হরিণাচালা এলাকায় বাসা ভাড়া থাকে। এর আগে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার থোরা এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে হাসান মাহমুদ মিঠুনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার মৃত কাজীমদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. লিটন মিয়া (৩৬) বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন হরিণাচালা এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড গার্মেন্টসে মেকানিক্যাল মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতো হৃদয়।
২৮ জুন ভোর রাতে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড গার্মেন্টসের ভেতর হৃদয়ের দুই হাত পেছনে বেঁধে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে। সকালে তাকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে নিহতের স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে হৃদয়ের মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় কারো নামোল্লেখ করা হয়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশ হাসান মাহমুদ মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে শফিকুল ইসলামকে তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কি কারণে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ধারণা করছে, চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, নিহত হৃদয় ওই কারখানায় চাকরি করতো না। প্রয়োজন পড়লে তাকে ডেকে নিয়ে কাজ করাতো কারখানা কর্তৃপক্ষ। কি কারণে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এপর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরএস/এএটি