বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলায় অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত এক যুবককে আটক করার ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক এপিবিএন সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ ছয়জনকে আটক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
আটক ছয়জন হলেন- বগুড়া ৪র্থ এপিবিএনের (আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশ) কনস্টেবল (গাড়িচালক) আল হাদী (২৭), কলেজছাত্র তারেক রহমান (২৫), শাহরিয়ার রহমান (২৬), আবিদ হাসান (২৬), সাদিক আকবর (২৬) ও আব্দুল্লাহ (১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এপিবিএন সদস্য আল হাদীর গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি গ্রামে। পার্শ্ববর্তী কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমান ফটুর ছেলে ওয়ালিদ অনলাইন জুয়া খেলেন। চাচাতো ভাই তারেক রহমানের মাধ্যমে এমন খবর পান আল হাদী। আল হাদী এপিবিএনের ডাবল কেবিন কাভার্ড ভ্যানে পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার রাতে কাতলাহার গ্রামে যান। সেখানে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফটুর ছেলে ওয়ালিদকে আটক করার চেষ্টা করেন। এসময় ছেলেকে যাতে না ধরে সেজন্য ফটু তাদের ৭০ হাজার টাকা দেন। পরে টাকা নিয়ে আল হাদী বাড়ি থেকে চলে গেলে শফিকুর রহমান ফটু জাতীয় পরিষেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানান। এরপর গাবতলী ও সদর থানা পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি ধরতে অভিযানে নামে। রাত দেড়টার দিকে সাবগ্রাম দ্বিতীয় বাইপাসে পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করে সদর থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেই সঙ্গে আটক করা হয় হাদীসহ ছয়জনকে।
এদিকে আটক এপিবিএন সদস্য আল হাদী জানান, কাতলাহার গ্রামের ওয়ালিদ অনলাইন জুয়ায় টাকা লাগান। তাকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য পুলিশের গাড়ি নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখান গিয়েছিলেন। এরপর ওয়ালিদের বাবা শফিকুর রহমান ফটু স্বেচ্ছায় তাদের ৭০ হাজার টাকা দেন। টাকা নিয়ে ফেরার পথে সদর থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, এপিবিএন সদস্য আল হাদীর পরিবারের সঙ্গে পাশের কাতলাহার গ্রামের শফিকুর রহমান ফটুর বিরোধ রয়েছে। তাকে ভয় দেখানোর জন্য তিনি পুলিশের গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। আটক সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার ৪র্থ এপিবিএনের অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) শহীদ আবু সরোয়ার জানান, কনস্টেবল আল হাদী এপিবিএনের গাড়িচালক। হাদী কাউকে না জানিয়ে সরকারি গাড়ি নিয়ে নিজ দায়িত্বে বাইরে যান। পরে বগুড়া জেলা পুলিশের হাতে আটক হন। তার ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই