ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৯ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে পাড়ে ভাঙন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৬, জুলাই ৫, ২০২৫
শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে পাড়ে ভাঙন শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে ভাঙন

মাদারীপুর জেলার শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত 'লিটন চৌধুরী' সেতুর নদীশাসন বাঁধ না থাকায় বর্ষার শুরুতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে নদের পাড়ে। সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

 

উৎরাইল-শিবচর প্রধান সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির নয়াবাজার পাড়ের দক্ষিণপাশে নদের পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। সেতুর একটি পিলার থেকে একশ ফুটেরও কম দূরত্বে এই ভাঙন।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে শিবচর সদরের সঙ্গে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়। সম্প্রতি আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেতুর কাছে নদের পাড় ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিস্রোত। ফলে সেতুর কাছেই নদের পাড়ের বেশকিছু জায়গা ভেঙে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাড় ভেঙে নদী কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেছে। একটি গাছ রয়েছে নদের পাড়ে। যেকোনো সময় গাছটিও নদের গর্ভে চলে যেতে পারে।  

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে ঘূর্ণিস্রোত। এ কারণেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদী ভাঙন আতঙ্কের বিষয়। সেতুর পাড়ে নদীশাসন বাঁধ থাকে। অথচ এখানে নদীশাসন বাঁধ দেয় নাই। নদীতে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। ফলে সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে।

শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল।  

গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, সেতুর দুই পাড়ে নদীশাসন বাঁধ সেতু নির্মাণের আগেই দেওয়া উচিত ছিল। সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ নদী শাসন বাঁধ দেয়া হয় নি। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের। পানি বাড়লে ভাঙন বাড়তে পারে। যা সেতুর জন্য হুমকি স্বরূপ!'

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।