পটুয়াখালী: জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাসের বিরুদ্ধে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), পটুয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেইন সোমবার (১৫ জুলাই) মামলাটি করেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, কৃষি প্রকল্পের নামে ভুয়া কৃষক তালিকা তৈরি করে প্রকল্প বাস্তবায়নের ভুয়া প্রমাণপত্র, মিথ্যা বিল-ভাউচার ও কাজ না করেও খরচ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। মাঠ পর্যায়ে কোনো চাষাবাদ বা বাস্তব কার্যক্রম না থাকলেও কাগজে-কলমে তা দেখিয়ে তোলা হয়েছে ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ১০৮ টাকা।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে– ভুট্টা, সরিষা, মুগডাল, মাশকলাই, সূর্যমুখী ও খেসারী চাষ। প্রতিটি খাতে আলাদা ব্যয় দেখিয়ে কল্পিত কৃষকদের নামে চাষের প্রমাণপত্র দাখিল করা হয়। একই সঙ্গে ‘ফাইটোস্যানিটারি টানেল’ স্থাপন, প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং প্রযুক্তি সরবরাহের বিষয়েও ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রকল্পের নাম বা কোনো সুবিধা সম্পর্কে তারা জানেন না। তাদের নাম ব্যবহার করে কীভাবে প্রকল্প দেখানো হয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না। অনেকেই এমন ভুয়া প্রকল্পের কারণে প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চনার শিকার হওয়া এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সরকারি অর্থ লোপাটের এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট মহল। অনুসন্ধান শেষে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
এসআই