হবিগঞ্জে বাংলা মদপান করে চারজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (২০ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পাপিয়া আক্তারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ১৬ ও ১৭ জুলাই হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন চার ব্যক্তি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ইতোমধ্যে তাদের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।
মৃতরা হলেন- শহরের চৌধুরী বাজারের চা দোকান কর্মচারী অপু দাস, ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকার সেলুন ব্যবসায়ী রতন শীল, স্থানীয় চা-স্টল ব্যবসায়ী নিকুঞ্জ এবং উমেদনগর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর।
স্থানীয়ভাবে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, তারা চৌধুরী বাজার সংলগ্ন সুইপার কলোনি থেকে চোলাই মদ কিনে পান করেছিলেন। পরে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল হক মুন্সী, সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মিহির কান্তি অধিকারী, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শরীফ মো. সানজিদ জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাজেদুল হাসান এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাবেদ ইকবাল চৌধুরী।
২৩ জুলাই সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলানিউজকে এডিএম পাপিয়া আক্তার বলেন, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৬ ও ১৭ জুলাই চোলাই মদ পান করে চার ব্যক্তি মারা গেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করতেই সভাটি আহ্বান করা হয়েছে। ”
আরএ