ফেনী: ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কে মৃত, অকার্যকর ও নিষ্ক্রিয় দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির গায়েবানা জানাজা পড়েছে করেছে পরশুরামের বন্যা দুর্গতরা।
সোমবার (২১জুলাই) দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার পশ্চিম অলকা এলাকায় বুক পরিমাণ পানিতে দাঁড়িয়ে তারা এ নামাজ আদায় করেন।
নামাজ আদায়কারী পশ্চিম অলকার বাসিন্দা মাসুম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই প্রতিবছর কয়েক দফায় তাদের ডুবতে হয়। ২৪'র বিপর্যয়কর বন্যার পর চলতি বছরেও কয়েক দফায় ডুবতে হয়। সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই।
ফেনীর পরশুরামে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ফুঁসে উঠছে মুহুরী নদীর পানি। বাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে ডুকছে বানের পানি। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে জনপদ।
ডুবতে শুরু করেছে পরশুরামের পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর ও চিথলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ডুকছে ফুলগাজীর কিছু এলাকাতেও।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সকাল ৯টার পূর্ববর্তী ৩ ঘণ্টায় ফেনী জেলার পরশুরামে পানি সমতল ৩২১ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে; যা বর্তমানে বিপদসীমার ১৭২ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (পরশুরামে সকাল ৯ টায় পানি সমতল ১০.৮৩ মি)।
আগামী ৬ ঘণ্টায় পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত -পরশুরাম ৬০.৫ মি.মি. ভারতের বিলোনিয়ায় ৪১.৮ মি.মি.। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্চ মুজিবুর রহমাস তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরশুরামের পশ্চিম অলকার বাসিন্দা মাসুম বলেন, হঠাৎ করেই নদীর পানি বাড়তে থাকে। গত কয়েকদিন আগে বন্যায় ভাঙ্গনকৃত স্থানে নতুন করে ভেঙে ফের প্লাবিত হচ্ছে ঘর-বসতি। মাসুম জানায় ফের ডুবে গেছে তাদের বাড়িও।
এসএইচডি/এমএম