ঢাকা, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৮ জুলাই ২০২৫, ০২ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালান: জুনায়েদ সাকি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৪, জুলাই ২৭, ২০২৫
যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালান: জুনায়েদ সাকি  জুলাই সমাবেশে কথ বলছেন জুনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান মহান মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিতে গড়ে উঠলেও তা মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এই সংবিধানেই সমস্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে, যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি পুরো রাষ্ট্রকে পকেটে পুরে জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে থাকেন।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা শাখা আয়োজিত ‘জুলাই সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সরকার ফ্যাসিবাদী শাসনের পথ খুলে দেয়। একটি কর্তৃত্ববাদী, চিরস্থায়ী শাসনব্যবস্থা কায়েমের বাসনা থেকেই তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। সেই বাসনাকে বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে দেশের সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামো-যা একটি স্বৈরতান্ত্রিক দখলদার শাসনকেই বৈধতা দেয়। ’

সাকি বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে আমরা বলে আসছি, গণতান্ত্রিক সংবিধান ছাড়া দেশে গণতন্ত্র ফিরবে না। দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর থেকে বিরোধী দলের ওপর হামলা, মামলা, গুম-খুন ও দমন-পীড়নের যে ধারা শুরু হয়, তা এখনও চলছে। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচন প্রমাণ করেছে, এই ব্যবস্থার মধ্যে গণতন্ত্র সম্ভব নয়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, বাংলাদেশে নতুন জাতীয় সনদ ও নতুন রাজনৈতিক চুক্তি ছাড়া অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, বর্তমান ব্যবস্থায় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে পড়েছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। ’

সমাবেশে অংশগ্রহণের আগে জোনায়েদ সাকি টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জিয়ারত করেন।

গণসংহতি আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সংগঠক তুষার আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন-বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ও ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের’ অন্যতম নেতা ফাতেমা রহমান বিথী, শহীদ মোহাম্মদ ইমনের ভাই মোহাম্মদ সুজন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, জাতীয় পরিষদের সদস্য আশরাফুল আলম সোহেল, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সদস্য সচিব ফারজানা জেসমিন, মধুপুর উপজেলার সংগঠক গোবিন্দ বর্মণ, নাগরপুর উপজেলার সংগঠক আলিম মোল্লা, ছাত্র ফেডারেশনের টাঙ্গাইল জেলার দপ্তর সম্পাদক প্রেমা সরকার, পৌর কমিটির আহ্বায়ক আদিবা হুমায়রা এবং সদস্য শিশির সাহা।

সমাবেশে বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম সংগঠন ও দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।