ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই খসড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন-বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর-কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিজয়নগর শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করা হয়।
বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিজয়নগর উপজেলা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে একটি সুসংগঠিত এলাকা। তিনটি ইউনিয়নকে অন্য আসনে সংযুক্ত করার প্রস্তাব বিজয়নগরবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত। তারা অবিলম্বে আগের আসনবিন্যাস ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। দাবি না মানা হলে ২৪ ঘণ্টার জন্য মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় কেউ কেউ বিজয়নগর উপজেলাকে পৃথক সংসদীয় আসনে উন্নীত করার দাবিও জানান।
এদিকে খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। অনেকেই কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন উপজেলার বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন চান্দুরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাষ্টু সরকার, চান্দুরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবু তাহের, যুবদলের সভাপতি সোহাগ খন্দকার, উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, হাজীপুরের জলফু মেম্বার, হরষপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. ইব্রাহিম এবং ইছাপুরা ইউনিয়নের সভাপতি আমিন মেম্বার।
গত বুধবার নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে খসড়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এই খসড়ার বিরুদ্ধে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি, অভিযোগ ও দাবি জানানো যাবে। পরে সেসব শুনানি শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
এসআইএস