রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিন্ধান্ত পরিবর্তন করে বাঁধের ১৬ জলকপাট খুলে প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে।
সোমবার (০৪ আগস্ট) দিনগত রাত ১২ টা ৫ মিনিট থেকে পানি ছাড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, বর্তমানে হ্রদে পানি আছে ১০৮ দশমিক ০৫। রাতের মধ্যেই কাপ্তাই হ্রদে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিন্ধান্ত পরিবর্তন করে ছাড়া হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। তবে ভাটি অঞ্চলের মানুষের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) সকাল ০৯টায় ১৬ জলকপাট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে সেকেন্ডে নয় হাজার কিউসেক পানি ছাড়ার সিন্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো।
এর আগে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় উজান এবং ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সোমবার (০৪ আগষ্ট) বিকেল ৩টায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে নয় হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত করার সিন্ধান্ত গৃহিত হয়েছিলো। তবে আজ তাৎক্ষণিক সিন্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেন, হ্রদে পানি বাড়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই সচল রয়েছে।
তার মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিটে প্রতিটিতে ৪৬ মেগাওয়াট করে মোট ৯২ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৭ মেগাওয়াট, ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিটে প্রতিটিতে ৪০ মেগাওয়াট করে মোট ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
পাঁচটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে প্রতিদিন ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।
পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।
জেএইচ