মাগুরায় টানা বৃষ্টিতে শালিখা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শালিখা ও সদর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ১১শ হেক্টর জমির রোপণকৃত ধান পানির নিচে।
কৃষকরা জানান, রোপণের এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলায় টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে প্রান্তিক চাষিরা বড় ধরনের লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
গত জুলাই মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত টানা এক সপ্তাহ ধরে চলে। এতে জেলার ফসলি মাঠ, নদী, খাল, ও বিলগুলোতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, নিম্ন অঞ্চল থেকে প্রবাহিত বৃষ্টির পানি সরাসরি মাগুরার জমিতে এসে জমা হওয়ায় তারা এ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত চিত্রা ও ফটকি নদী এবং কুমার নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ছোট ছোট খাল-বিলেও পানি উপচে পড়ছে। অনেক কৃষক পুঁজির অভাবে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছেন। দ্রুত পানি না সরলে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মাগুরা শালিখা উপজেলার চাষি শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ এমন দুর্যোগের মুখে পড়ে কৃষকরা দিশেহারা। ফলন্ত সবজির মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দায়-দেনা পরিশোধের চিন্তায় অনেকে অসহায় হয়ে পড়েছেন। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, জেলায় মোট ১১শ হেক্টর জমির রোপণকৃত ধানের চারা পানিতে ডুবে আছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে ধানের বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণের চেষ্টা চলছে। ব্রি ধান-৩৩ ও ব্রি ধান-৭ জাতের বীজ সংগ্রহে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ নিজেও বীজ তৈরি করে কৃষকদের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করছে।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, শালিখা উপজেলায় সদর উপজেলার তুলনায় ধানের জমিতে ক্ষয়ক্ষতির হার বেশি। বৃষ্টির পানি ধীরগতিতে সরছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের ফসল রক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এসআরএস