লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গেছে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী বাসটি এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ঠিক এক মাস আগে গত ৬ আগস্ট ভোরে ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারের ওই খালেই একটি মাইক্রোবাস ডুবে যায়। এতে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়। পরিবারটির শিশুসহ ১১ জন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এক প্রবাসীকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন।
শনিবারের দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজন হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের মো. মোরশেদ আলম (৪০) ও জয়নাল আবেদীন (৫৭), নওগাঁর বাসিন্দা ও চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর বকুল ভিলার ভাড়াটিয়া এবং একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর, মাজেদ ও রিপন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে আনন্দ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। বাস থেকে অন্তত ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অচেতন অবস্থায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পার হলেও ঘটনাস্থলে ডুবুরি পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় উদ্ধারকারীদের। এছাড়া পানিতে কেউ ডুবে আছেন কি না তাও নিশ্চিত বলতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। খালের তলদেশে এখনো যাত্রীরা থাকতে পারেন বলে ধারণা তাদের।
এ ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে আসায় প্রাণহানি বেশি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এক ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরআইএস