বাগেরহাট: চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে চলমান নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি একদিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সেই সাথে নতুন করে ঘোষণা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময়, সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার আবারও নির্বাচন অফিস ঘেরাও করা হবে। সেই সাথে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির শীর্ষ নেতা এমএ সালাম।
তিনি বলেন, আমরা আসলে আন্দোলন থামাইনি। শুধু পদ্ধতি পরিবর্তন করেছি। আগামীকাল আমাদের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে। এটা চলমান থাকবে। সেই সাথে বুধ ও বৃহস্পতিবার আবারও নির্বাচন অফিস ঘেরাও করা হবে বলে জানান।
গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণ মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
এমআরএম