ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

ভুল তথ্যের কারণে সাপের ছোবলে বছরে ৭৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৯, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
ভুল তথ্যের কারণে সাপের ছোবলে বছরে ৭৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয় সেমিনার

মাগুরা: প্রজাতি সঠিকভাবে না চেনার কারণে সাপের ছোবলে বছরে প্রায় ৭৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। মানুষ ছাড়াও বছরে সাপের ছোবলের শিকার হয় ১৯ হাজার গবাদিপশু ।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মাগুরায় ‘সর্প দংশন বিজ্ঞানের আলোয় প্রতিকার’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বলেন বন্যপ্রাণী গবেষক আবু সাঈদ।  

দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম।  

আবু সাঈদ আরো বলেন, অনেক সময় ডাক্তারদের কাছে সাপের ছোবলের সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণে এন্টিভেনাম দেওয়া সম্ভব হয় না। তিনি ডাক্তারের কাছে সঠিক তথ্য প্রদানের পরামর্শ দেন।  

তিনি বলেন, অনেক জায়গায় সাপের দাঁত ভেঙে ওঝারা খেলা দেখান। তবে দাঁত ভাঙার পরও সাপের বিষ থেকে যায়। সাপ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দংশন করতে পারে।  

বিষক্রিয়ার প্রভাবে প্রথমে রোগীকে সাধারণভাবে রশি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এতে রোগীর হাড়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন সময় ও ওঝারা মন্ত্র পড়ে রোগীকে চিকিৎসা দেয়। আবার রোগীকে তাবিজ দিয়ে চিকিৎসার পদ্ধতিও প্রচলিত রয়েছে। এসবই কুসংস্কার।  

এতে কোনো বিষ নামে না। বরং দীর্ঘসূত্রিকার কারণে এবং ভুল এই চিকিৎসার কারণে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

আবু সাঈদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় একশ’টি সাপের মধ্যে ৮০টি অবিশোধন সাপের দংশন। আর বাকি বিষধর সাপের দর্শন।  

সাপেকাটা রোগীকে যত দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যাবে তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি জানান।  

সেমিনারে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাস ও ডাক্তার মেহেদী হাসান বক্তব্য রাখেন।

এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।