পয়লা ফাল্গুনের দিনটি বরাবরই অনন্য। প্রকৃতি আজ তার দখিন-দুয়ার খুলে দিয়ে যখন বইতে শুরু করল ফাগুন হাওয়া, সে হাওয়া লাগল মনে, লাগল প্রাণে।
বসন্তের প্রথম সকালে বাসন্তী রঙে নিজেদের রাঙিয়ে দিনভর চলে শুভসংঘের বন্ধুদের বসন্ত বরণের উচ্ছ্বাস। ছিল নাচ, গান ও কবিতা আয়োজন।
কবিগুরুর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তারা গেয়ে ওঠেন বসন্তের গান— ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’ এবং ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’। গলায় তোলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘মনের রং লেগেছে’ ও ‘বসন্ত মুখর আজি’ গান দুটি।
মুখে মুখে ছিল শাহ আব্দুল করিমের লেখা ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে’ গানটি।
গান আর আড্ডার ফাঁকে নাচ আর কবিতার মিশেলে সাজানো হয়েছিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত বসন্ত উৎসব। বসন্ত আর ফাগুনের গান কেন্দ্র করেই পরিবেশিত হয় নাচ।
বন্ধুরা আবৃত্তি করেন নির্মলেন্দু গুণের লেখা ‘বসন্ত বন্দনা’, জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘পাখিরা’, মহাদেব সাহার লেখা ‘বসন্তের একটি বাংলা উদ্ধৃতি’, মাহাবুব আলমের লেখা ‘বসন্তের দান’, সুব্রত পাল এর লেখা ‘থেকো, বসন্ত সন্ধ্যায়’ এর মতো আরও অনেক জনপ্রিয় ও কালজয়ী কবিতা।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মেহেদী, সদস্য নাছিফুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, মমিনুল হক সৌরভ, শাকিল হাসান, আলী আজগর, রাহিমুল, আশরাফুল আলম, রওশন আলী, সাদিয়া, হাসি, উন মারমা, অনামিকা বর্মনসহ আরও অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আমিনুর রহমান বলেন, যৌবনের রাজদণ্ড যে ঋতুর হাতে, সেই বসন্তের প্রথম দিন আজ। নব আনন্দে জেগে ওঠার উদ্বোধনের কাল। এমনিতেই বসন্তের প্রথম দিনটি পরিচিত ‘বাঙালির ভালোবাসার দিন’ হিসেবে।
তিনি বলেন, বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার জন্য পহেলা ফাল্গুন বাংলাদেশে বিশেষ উৎসবের সাথে উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতির ধারক বাহক হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই বসন্ত আলিঙ্গনে আমাদের এ প্রাণোচ্ছল আয়োজন বসন্ত উৎসব।
লেখা: শামীম আল মামুন, সহ-সভাপতি, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটি
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক