দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সম্প্রতি তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে।
নাজমুল হাসান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার একটি কথার লড়াই হয়েছিল। অর্থসংকটে মেয়েদের ফুটবল দলকে অলিম্পিক প্রাক-বাছাইয়ে পাঠাতে না পারা নিয়ে চারদিকে সমালোচনার মধ্যে বিসিবি সভাপতিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেছিলেন সালাউদ্দিন। পাপনও পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন।
সেই ঘটনা নিয়ে আজ মুখ খুলেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘এত বছরের সম্পর্ক একদিনের কথায় তো নষ্ট হয় না। যা কিছুই হয়েছে, সম্পর্ক তো আর শেষ হয়ে যায়নি। ছোটবেলা থেকে মাঠে যেতামই তো ওনার খেলা দেখতে। এটা তো অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। ওনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার তো আর নেই। ছোটবেলা থেকেই মাঠে যেতাম খেলা দেখতে ওনার জন্য, সে জিনিসটা তো আছেই। হ্যাঁ অনেক সময় অনেক কথায় উনিও কষ্ট পেতে পারে আমিও পেতে পারি। একটা রিঅ্যাকশন করলাম দিলাম সেটা ওখানেই শেষ। সম্পর্ক তো শেষ হবে না। ’
বাইপাস সার্জারির পর সুস্থতার পথে থাকা সালাউদ্দিনকে দেখেও আনন্দিত নাজমুল। তিনি বলেন, ‘আমি তো আর ডাক্তার নই। তবে দেখে মনে হয়েছে, আল্লাহর রহমতে উনি খুব ভালো আছেন এখন। হাঁটা-চলা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে, যেটা দেখেই ভালো লাগছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন সার্জারির পর আরো কিছু সময় লাগবে ওনার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে। ’
মন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর নাজমুল এর মধ্যেই বাফুফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলেন। আজকের সাক্ষাতেও সে সব কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘মাঠের সমস্যাটাই এখন মূল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতির জন্য আমি জোর চেষ্টা করব। আর কোথায় ফুটবলের জন্য মাঠের ব্যবস্থা করা যায় সেটাও দেখব। ’
সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি ২০০৮ সাল থেকে। নাজমুল হাসান পাপন বিসিবির সভাপতির পদে ২০১২ সাল থেকে৷ গত এক দশকে দেশের শীর্ষ দুই ব্যক্তিত্বকে এক সঙ্গে দেখা গেছে কালেভদ্রে। গত বছর দুই সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা কথার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। আজকের আলোচনাটি পুরোটাই সৌজন্যমূলক৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
এআর/এএইচএস