লেটসিলে তেবোগো—২১ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়েছেন ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে তিনি প্রথম আফ্রিকান অ্যাথলেট হিসেবে এই ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন।
বতসোয়ানার কানই শহরে জন্ম তেবোগোর। শৈশবে বড় হয়েছেন নানির কাছে, কারণ মা ছিলেন কাজের জন্য ৫০০ কিলোমিটার দূরে। আশেপাশে অপরাধ আর সহিংসতা ছিল নিত্যদিনের চিত্র। তিনি বলেন, “আমার আশেপাশে অনেক অপরাধী ছিল। টিকে থাকার জন্য লড়তে হতো। খেলাধুলার জন্যই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, স্কুলে যাওয়া দরকার। ট্রেনিংয়ের পর এত ক্লান্ত থাকতাম যে রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগই থাকত না। ”
ছোটবেলায় তেবোগোর পছন্দ ছিল ফুটবল, খেলতেন লেফট উইংয়ে। কিন্তু স্কুলের শিক্ষকরা তাকে অ্যাথলেটিকসে উৎসাহ দেন। ২০১৯ সালে যখন তিনি প্রথমবার জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ পান, তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন—এই ট্র্যাকই হবে তার ভবিষ্যৎ।
তারপর বদলে যায় জীবন। অ্যাথলেটিকস এনে দেয় নতুন পথ, নতুন সুযোগ। এখন তিনি শুধু নিজেই দৌড়ান না, শিশুদের দৌড়াতেও উৎসাহ দেন। তেবোগো এখন ‘কিডস অ্যাথলেটিকস’ প্রোগ্রামের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর। এই প্রোগ্রামটি খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের আরও সক্রিয় ও অনুপ্রাণিত করতে কাজ করে।
তেবোগো বলেন, “খেলাধুলা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। এখন আমি চাই, শিশুরাও যেন স্বপ্ন দেখে, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখে, আর খেলাকে উপভোগ করে। শুধু ট্র্যাকে নয়, জীবনের প্রতিটা দৌড়ে তারা যেন জয়ী হয়। ”
অপরাধের অন্ধকার পথ পেরিয়ে তেবোগো আজ আলো ছড়াচ্ছেন হাজারো শিশুর জীবনে। তাঁর গল্প শুধু সাফল্যের নয়, বদলে যাওয়ার প্রেরণারও।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এমএইচএম