ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপে সরাসরি বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপে সরাসরি বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ

ঢাকা: ২০১৫ সারটি হতে পারে শুধুই ফুটবলের। একরে পর এক সুখবর আসছে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য! আশঙ্কা ছিল ফিফা র‌্যাংকিংয়ে হেরফের হলেই বিশ্বকাপ ফুটবল এবং এশিয়ান কাপের প্লে-অফে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।

কিন্তু সে আশঙ্কা দূর হয়েছে সোমবার বিকেলে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ এশিয়ান কাপের জন্য প্লে-অফে খেলতে হবে না। অর্থাৎ সরাসরি বাছাইপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।

উল্লেখ্য, এএফসির ৪৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৩৪তম। নিয়ম অনুযায়ী ৩৪টি দল খেলবে সরাসরি বাছাইপবে। আর বাকি ১২টি দল খেলবে প্লে-অফে। প্রাথমিক বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। এ দলগুলোর খেলা শুরু হবে মার্চে। সেখান থেকে ৬টি দল উঠবে বাছাইপর্বে। এ ৬টি দলসহ মোট ৪০ দলকে নিয়েই হবে বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব।

দলগুলোকে ভাগ করা হবে আটটি গ্রুপে। গ্রুপ পর্ব নির্ধারণের জন্য ড্র হবে। জুনে শুরু হবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের খেলা। ৮টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা ৪ রানার্সআপ অর্থাৎ ১২ দল সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ সালের এশিয়া কাপে খেলা  টিকিট নিশ্চিত করবে। এই ১২ দলের মধ্যে না থাকতে পারলে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবে না বাংলাদেশ। যদিও এই আশা পূরণ করা কঠিন হলেও এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারে লাল-সবুজরা। ৪০ দলের মধ্যে ১২ দল মূলপর্বে উঠলে বাকি থাকে ২৮ দল। এই ২৮ দলের মধ্যে বাদ পড়বে ৪ দল। সেক্ষেত্রে বাজে পারফরম্যান্স করা চার দলের মধ্যে বাংলাদেশের না থাকার সম্ভাবনাও খুবই কম। কারণ শ্রীলঙ্কা, ব্রুনাই, ভুটান, পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা ভাল।

চার দল বাদ পড়লে বাকি ২৪ দল লড়াই করবে এশিয়ান কাপের জন্য। সেখানেও হবে গ্রুপিং। ২৪ দলকে ৬ গ্রুপে বিভক্ত করা হবে। সেখান থেকে ১২টি দল যাবে এশিয়া কাপে। সেই ১২ দলের মধ্যে বাংলাদেশকেও দেখছেন ফুটবল ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘আমাদেও মূল লক্ষ্য হলো এশিয়া কাপ। যেভাবে এখন যেহেতু আমাদের প্লে-অফ খেলতে হবে না তাতে করে ২০১৯ সালের এশিয়া কাপে খেলার একটা ভাল সম্ভাবনা আছে। ’

গত কয়েকটি আসরেই বিশ্বকাপের প্লে-অফে খেলেছিল বাংলাদেশ। গত বছর কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলায় র‌্যাংকিংয়েও উন্নতি হয়েছে, এটা তারই ফল। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের বাছাইয়ের জন্য গ্রুপ পর্বে হোম এ্যান্ড এ্যাওয়েভিত্তিক ৮টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দলগুলো চূড়ান্ত না হলেও ম্যাচের সূচী বাফুফেকে ই-মেইলে করে পাঠিয়েছে এএফসি।

উল্লেখ্য, এর ফলে ২০১৪ সালের চেয়েও চলতি বছর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আগামী দেড় বছরে ১০-১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে তারা। যা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য সুখবরই বটে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘন্টা, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।